লিয়াকত রাজশাহী ব্যুরোঃ জঙ্গিবাদমুক্ত অসাম্প্রদায়ি ক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় বিশ্ব শান্তি, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসমুক্ত অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে মানববন্ধন ও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল বেলা ১১টার দিকে জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ আন্দোলন বাংলাদেশ রাজশাহী বিভাগের আয়োজনে নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে আয়োজিত মানবন্ধনে সভাপতিত্ব করেন অত্র কমিটির রাজশাহী বিভাগের আহবায়ক মোহাম্মদ শোয়াইব। প্রধান অতিথি ছিলেন ঘাতক দালাল নির্মূল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী বঙ্গবন্ধু কলেজের উপাধ্যক্ষ কামরুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ আন্দোলন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এয়াকুব বাদশা।
এছাড়াও ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির রাজশাহী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম বাদশা, ছাত্রনেতা তামিম সিরাজী ও ঘাতক দালাল নিমর্ূল কমিটি বোয়ালিয়া থানা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান। এছাড়াও অত্র কমিটির অন্যান্য সদস্য ও সুশিল সমাজের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
এসময়ে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে সন্ত্রাসী ও জঙ্গি সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর প্রধান টার্গেট হচ্ছে, মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে অস্বীকার করা। সেই সঙ্গে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশকে প্রতিক্রিয়াশীল সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করা। এছাড়াও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, ধর্ম নিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক সংবিধান, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, মুক্তচিন্তার বুদ্ধিজীবী, নারীশিক্ষা, নারী উন্নয়ন, আধুনিক প্রগতিশীল মানবিক শিক্ষা ও সমাজব্যবস্থার বিরোধীতা করা।
তারা আরে বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৯৯৬, ২০০৯, ২০১৪ এবং ২০১৯ সালে এদেশে ক্ষমতায় আসার সুযোগ না হতো, তাহলে সোনার বাংলার সবুজ প্রান্তর সন্ত্রাসী ও জঙ্গি সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীদের হিংস্র থাবার আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত হয়ে আরেক সিরিয়া, লিবিয়া, ইরাক ও আফগানিস্তানের ভাগ্য বরণ করতে হতো।
বক্তারা বলেন, জঙ্গি সংগঠন বর্তমান সরকারের সময় রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে আবারও মাথা তোলার চেষ্টা করলেও বর্তমান সরকারের সন্ত্রাসী ও জঙ্গীবাদ বিরোধী কঠোরতার কারনে সন্ত্রাসী ও জঙ্গীরা সফল হয়নি। সন্ত্রাসী জঙ্গিদের নেটওয়ার্ক অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের যে সাফল্য, যে অর্জন, সেটা অকল্পনীয়। বিশ্বের বহু দেশ এটা করতে পারেনি। ১৭ কোটি মানুষের দেশে জঙ্গিসদস্য এবং তাদের আস্তানা খুঁজে বের করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মেধাবী ও চৌকস অফিসাররা যে অপারেশন করেছেন, তা বিরল ঘটনা বলে উল্লেখ করেন।
জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ আন্দোলন বাংলাদেশের ব্যানারে দীর্ঘদিন ধরে, বাংলাদেশ সরকারের সন্ত্রাসমুক্ত ও জঙ্গিবাদমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে যে প্রশংসনীয় পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, তা প্রশংসা করে গণসচেতনতা বাড়ার জন্য বিভিন্ন মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছেন তারা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মানে বদ্ধপরিকর বলে জানা বক্তারা। বক্তব্য শেষে তারা র্যালি নিয়ে নগরীর বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করেন।
Leave a Reply