শেখ মাহতাব হোসেন ডুমুরিয়া খুলনা:খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার করোনা ভাইরাসের কারণে লেবুর চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় লেবুর চাষীরা এখন অনেক খুশি। চাষিরা লেবুর দামও পাচ্ছেন ভালো। অন্যদিকে পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ীরাও লাভবান হচ্ছেন। ডুমুরিয়া উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নে রুদঘরা,শাহাপুর, খনিয়া, ভরাতিয়া ,শোভনা ,শরাফপুর, কালিকা পুর, শৈলগাতিয়াসহ ডুমুরিয়ায় সব চেয়ে লেবুর আবাদ বেশি হয়। চলতি মৌসুমে প্রায় ১০ লাখ টাকার লেবু বিক্রির করছেন চাষিরা।
ডুমুরিয়া উপজেলার ভরাতিয়া গ্রামের বেকার যুবক নবদ্বীপ মল্লিক, আসমা খাতুন, ৩ ৩ শতাংশ ও বাসুদেব পশারী জানান, ৩৩ শতাংশ জমিতে এলাচ (সরবতি) লেবু,কলম্বিয়া লেবু ও কাগজি লেবুর বাগান করেন তিনি। এ বাগানে প্রথমে ৫০টি এলাচ লেবু, ৪০টি কলম্বিয়া লেবু ও ৩০টি কাগজি লেবু গাছের চারা রোপন করেন। বর্তমানে বাগানে লেবু ধরা শুরু করেছে। এ লেবু বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি করার প্রত্যাশা করছেন তিনি।
করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি ও রমজান মাসকে ঘিরে ডুমুরিয়া উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে লেবুর চাহিদা অন্যান্য বছরের তুলনায় কয়েকগুণ বেড়েছে। এ অঞ্চলের লেবু চাষিরাও অধিক মুনাফায় বিক্রি করছেন এ লেবু।ডুমুরিয়া সদরের মৃত্যু মুনছুর আলী সরদারের ছেলে লেবু চাষী মনিরুজ্জামান সরদার প্রায় ৬ শতাংশ জমিতে সরবতি, কাগজি ও দেশি জাতের প্রায় ৫ হাজার লেবু উঠান। এসব লেবু প্রতি পিস ৫ টাকা দরে বিক্রি করেন। অনেকেই তার বাগান থেকে এসে লেবু ক্রয় করেন।
ডুমুরিয়ার আনোয়ারা আড়তের আড়ৎদার আব্দুর রহিম জানান, ডুমুরিয়ায় দৈনিক ২০ থেকে ২৫ বস্তা লেবু পাইকারি বিক্রি হয়। প্রতি বস্তায় ২ হাজার লেবু থাকে। পহেলা রমজানে ৮০ পিস লেবু ৮শ থেকে শুরু করে হাজার টাকায় পাইকারি বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে ১৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৪শ টাকায় এলাচ, দেশি কলম্বিয়া, দেশি কাগজি লেবুসহ বিভিন্ন জাতের লেবু পাইকারি বিক্রি হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ মোছাদ্দেক হোসেন বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় ৪৪ হেক্টর জমিতে লেবুর আবাদ হয়েছে। অনেকেই কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। তবে অনেক বেকার যুবক এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে গ্রামাঞ্চল থেকে কিনে পাইকারিভাবে লেবু কেনাবেচা করেছেন। অন্যান্য বছরের তুলনায় বর্তমানে ভোক্তা পর্যায়ে লেবুর চাহিদা অনেক বেশি।
Leave a Reply